ভোলায় চলতি বছরে গেলো ৮ মাসে ১শো ২০জন শিশুর পানিতে ডুবে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। গত শনিবার দুপুরে ভোলা সদর হাসপাতালে দেখা মিলে, এক হৃদয় বিদারক দৃশ্যের। একমাত্র কন্যা শিশু রাইসাকে (৮) হারিয়ে হাসপাতালের মেঝেতে গড়াগড়ি করে কাদঁছেন রাইসার বাবা রাসেল মিয়া ও তার স্ত্রী। রাইসা তার দাদির সঙ্গে গোসল করতে গিয়ে পুকুরে পানিতে ডুবে মারা যান।
জেলা সিভিল সার্জনের তথ্য মতে, পরিবারের অসচেতনতায় প্রতি বছরই পানিতে ডুবে প্রায় ২শোর মত শিশুর মৃত্যু হয়। তবে, চলতি বছরে ৮ মাসেই ১২০ জন শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে, চরফ্যাশনে ৩৭ জন, মনপুরায়, ৮ জন, তজুমদ্দিনে ১০ জন, লালমোহনে ১২ জন, দৌলতখানে ৩ জন, বোরহানউদ্দিনে, ২৪ জন, ভোলা সদর উপজেলায় ২৬ জন শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
বর্ষা মৌসুম আসলেই জেলার নদ -নদী ও পুকুর গুলো পানিতে কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়। শিশুরা পানিতে খেলা করতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করায় পানির পাশে অনায়াসে গিয়ে এরকম দূর্ঘটনার শিকার হন। শিশু মৃত্যুর প্রতিকারে, পরিবারের সচেতনতাই মূল দায়িত্ব বলে মনে করছেন সচেতন মহল।
শিশু বিশেষজ্ঞ ডাক্তাররা বলছেন, 'পানিতে ডুবে শিশু মৃত্যু সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। অধিকাংশ শিশুই সকাল ১০ টাকা থেকে দুপুর ২ টার মধ্যে পানিতে ডুবে মারা যায়। কারন, এসময় শিশুদের মায়েরা ঘরে রান্নার কাজে ব্যস্ত থাকেন। এই সুযোগে শিশুরা বাড়ির আঙ্গিনায় খেলা করার সময় অসাবধানতাবশত পানিতে ডুবে গিয়ে মৃত্যু হয়।'
জেলায় পানিতে ডুবে শিশু মৃত্যুর হার সবচেয়ে বেশি চরফ্যাশন উপজেলায়। এই উপজেলায় বিস্তীর্ণ জনপদে রয়েছে অসংখ্য পুকুর আর খাল বিল। যার, ফলে এখানে প্রায় পানিতে ডুবে শিশু মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।
গেলো মার্চ মাসে এই উপজেলার হাজারীগঞ্জ ইউনিয়নে নানা বাড়িতে বেড়াতে এসে রেদোয়ান নামের ৫ বছর বয়সী এক শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। শিশুটির বাবা প্রবাসী রুবেল হোসেন আজও ছেলেকে হারানোর শোক বুকে নিয়ে প্রবাস জীবন কাটাচ্ছেন। মা মুক্তা বেগম একমাত্র ছেলেকে হারিয়ে মাঝে মাঝে ফুফিয়ে ফুফিয়ে কেঁদে ওঠেন।
ভোলা সদর হাসপাতালে নিহত শিশু রাইসার চাচা ফরহাদ মিয়া সময়ের কন্ঠস্বরকে জানান, গতকাল শনিবার দুপুর ১টার দিকে শিশু রাইসা ও তার চাচাতো ভাই রাহাত তাদের দাদির সঙ্গে বাড়ির পাশে একটি পুকুরে গোসল করতে যান। পরে তাদের দাদির গোসল শেষে রাইসা ও রাহাতকে ডেকে বাড়িতে আসতে বলে তিনি ঘরে ফিরে আসেন। কিছুক্ষন পর তাদের দেখতে না পেয়ে পূনরায় পুকুর ঘাটে গিয়ে শিশু রাহাতকে পানিতে ভেসে থাকতে দেখেন। তাৎক্ষনিক রাহাতকে উদ্ধার করে রাইসাকে খুঁজে পান পুকুরের ঘাটলার নিছে। পরে দু'জনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসক রাইসাকে মৃত ঘোষণা করেন। এবং রাহাতকে হাসপাতালে ভর্তি করেন।
গেল বৃহস্পতিবার ভোলা সদর উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নে খাদিজা নামের ৩ বছর বয়সী এক শিশুর পুকুরের পানিতে ডুবে মৃত্যু হয়। শিশুটির মা জাহানারা বেগম সময়ের কন্ঠস্বরকে জানান, 'আমার মাইয়্যা ডা আর নাই, ওরে কইলাম মা তুমি পুস্কুনিত (পুকুরে) যাইয়ো না' কিন্তুুক মাইয়্যা ডা কোন ফাঁকে গেল গা টের পাইলাম না। বাড়ির উডানে (আঙ্গিনা) দেখলাম খেলে, এরপর আর দেখি নাই, চাইয়্যা দেখি মাইয়্যা আমার পুস্কুনির (পুকুর) পানিতে ভাসে।
পানি ডুবে শিশু মৃত্যুর হার কমাতে বাংলাদের শিশু একাডেমির সহযোগীতায় একটি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার অর্থায়নে সাঁতার প্রশিক্ষণ প্রকল্পের মাধ্যমে শিশুদের সাঁতার শিখানো হচ্ছে।
শিশুর প্রারম্ভিক বিকাশ ও সুরক্ষা এবং সাঁতার সুবিধা প্রদান (আইসিবিসি) প্রকল্পের কো-অর্ডিনেটর মো হারুন অর রশির সময়ের কন্ঠস্বরকে জানান, 'পানিতে ডুবে শিশু মৃত্যুর হার কমাতে ভোলায় ৫০ টি সাঁতার প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের মাধ্যমে প্রায় ২০ হাজার শিশুকে সাঁতার প্রশিক্ষণ দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।'
তিনি আরও বলেন, 'এই প্রকল্পে জেলায় ১০০ জন প্রশিক্ষকের মাধ্যমে ৬ বছরে থেকে ১০ বছরের শিশুদের সাঁতার শিখানো হচ্ছে। আশা করি এই প্রকল্পের মাধ্যমে কিছুটা হলেও শিশু মৃত্যুর হার কামনো যাবে।'
ভোলা সদর উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নের লোকাল সুইমিং ইনস্ট্রাক্টর (এলএসআই) মো. আল আমিন সময়ের কন্ঠস্বরকে বলেন, 'আমাদের প্রতিটি সাঁতার প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে সপ্তাহে ৫০ জন শিশুকে সাঁতার শিখানো হচ্ছে। এক সপ্তাহের মধ্যে প্রতিটি শিশু সাঁতার শিখে নিজেকে আত্নরক্ষা করতে পারে। এতে পানিতে ডুবে শিশু মৃত্যুর হার অনেকটা কমে আসবে।'
ভোলা সিভিল সার্জন ডাক্তার মো. মনিরুল ইসলাম দৈনিক বাংলাকে বলেন, 'চলতি বছরের ৮ মাসে পানিতে ডুবে ১২০ জন শিশু মৃত্যু হয়েছে। যা অত্যান্ত দুঃখজনক। শিশু মৃত্যু রোধে শিশুর মায়েদের আরও সচেতন হতে হবে। বাড়ির পাশের পুকুর থাকলে তাতে জাল বা বাঁশ দিয়ে বেড়া দিয়ে দিতে হবে, যাতে শিশুরা পুকুরে কাছে যেতে না পারে। এছাড়াও শিশুদের পর্যাপ্ত সময় দিয়ে তাদের প্রতি নজর রাখতে হবে।'
তিনি আরও বলেন, 'বেশিরভাগ শিশুই সকাল ১০ টাকা থেকে দুপুর ২ টার মধ্যে পানিতে ডুবে মৃত্যু হয়। এসময় মায়েরা ঘরে রান্নার কাজে ব্যস্ত থাকেন। যার ফলে শিশুরা খেলা করার সময় অসাবধানতাবশত পানিতে ডুবে গিয়ে মৃত্যু হয়। এই সময়টায় শিশুদের প্রতি খেয়াল রেখে শিশুদের মায়েদের কাছে রাখতে হবে। 'পানিতে ডুবে শিশু মৃত্যু রোধে পারিবারিক সচেতনতা বৃদ্ধির বিকল্প নেই। এছাড়াও, শিশুদের ৪ /৫ বছর বয়স হওয়ার সাথে সাথে তাদের সাঁতার প্রশিক্ষণ দেওয়া উচিত। যাতে নিজেদের আত্নরক্ষা করতে পারে।'
রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে ২৩৯৫টি মামলা করেছে ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগ।
এছাড়াও অভিযানকালে ৩২৯টি গাড়ি ডাম্পিং ও ১১৩টি গাড়ি রেকার করা হয়েছে।
রবিবার (১০ আগস্ট ২০২৫) ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগ কর্তৃক রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে এসব মামলা করা হয়।
ঢাকা মহানগর এলাকায় ট্রাফিক শৃঙ্খলা রক্ষায় ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মানের দাবিতে কলাগাছের ভেলায় ভেসে সংবাদ সম্মেলন করেছে বানভাসী মানুষরা। সোমবার বেলা এগারোটায় উপজেলার ধানখালী ইউনিয়নের পশ্চিম লোন্দা গ্রামের টিয়াখালী নদী তীর এলাকায় এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় ওই গ্রামের শতাধিক ভূক্তভোগী মানুষ উপস্থিত ছিলেন। সংবাদ সম্মেলনে বানভাসী মানুষের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ওই এলাকার বাসিন্দা হালিমা আয়শা।তিনি বলেন, প্রায় ৪০ বছর ধরে পশ্চিম লোন্দা গ্রামের টিয়াখালী নদী তীর সংলগ্ন এলাকায় বসবাস করে আসছে ২৫০টি পরিবার। এ নদীর তীরে বেড়িবাঁধ না থাকায় বহু বছর ধরে প্রতিনিয়ত দু'দফা জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয় ওই এলাকায়। তলিয়ে যায় ২০০ একর কৃষি জমি, রাস্তাঘাট, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বসতভিটা। বর্ষাকালীন সময়ে অনেকের চুলোয় জলেনা উনুন। নষ্ট হয়ে যায় জমির ফসল। তখন চলাচলের একমাত্র বাহন হয় ভেলা কিংবা নৌকা। ওই গ্রামের ৩ কিলোমিটার এলাকায় টেকসই রিং বেড়িবাঁধ নির্মান করলে এ অসহনীয় দুর্ভোগ থেকে রক্ষা পাবে বানভাসী মানুষ। তাই এলাকা বাসীর পক্ষে দ্রুত সময়ের মধ্যে বেড়িবাঁধ নির্মানের দাবি জানান তিনি।
এলজিইডির কলাপাড়া উপজেলা প্রকৌশলী সাদেকুর রহমান সাদিক বলেন, ভূক্তভোগীরা আবেদন করলে বাঁধ নির্মানের বিষয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হবে।
গাজীপুরে সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিনকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যার প্রতিবাদে এবং ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করেছে সিরাজগঞ্জের কর্মরত সাংবাদিকরা একই সঙ্গে সাগর-রুনি হত্যাসহ দেশের সকল সাংবাদিক হত্যার বিচারের দাবিও জানানো হয়।
সোমবার (১১ আগষ্ট) বেলা ১১টায় মুজিব সড়কে অবস্থিত সিরাজগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে এ মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের প্রেসক্লাব ও সাংবাদিক সংগঠনের নেতারা সংহতি প্রকাশ করে মানববন্ধনে অংশ গ্রহন করেন।
বক্তারা বলেন, দেশে একের পর এক সাংবাদিকদের ওপর নির্যাতন ও নিপীড়ন হলেও কোন সরকারই তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারেনি। সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ড তার জ্বলন্ত উদাহরণ। সাংবাদিক তুহিন হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে পুরো সাংবাদিক সমাজ নিরাপত্তা ও ঝুকির মধ্যে পড়েছে। প্রকাশ্যে একজন পেশাদার সাংবাদিককে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা শুধু একটি হত্যাকাণ্ড নয়, এটি পুরো সাংবাদিক সমাজের ওপর সরাসরি আঘাত। তাই দ্রুত সাংবাদিক নিরাপত্তা আইন প্রণয়ন এবং ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিতের দাবি জানান।
সিরাজগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি ও বাংলাভিশনের স্টার রিপোর্টার হারুন-অর-রশিদ খান হাসানের সভাপতিত্বে এবং দপ্তর সম্পাদক শেখ মো. এনামুল হকের সঞ্চালনায় জেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান বাচ্চু, প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম ইন্না, সহ-সভাপতি হিরক গুণ, কার্য্যকারী সদস্য নুরুল ইসলাম বাবু, সাবেক আহবায়ক সিনিয়র সাংবাদিক আব্দুল কুদ্দুস, সাবেক সহ-সভাপতি এস.এম তফিজ উদ্দিন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফেরদৌস রবিন, সলঙ্গা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এম দুলাল উদ্দিন আহম্মেদ, কামারখন্দ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক রাজ, জেলা বাসদের আহবায়ক নব কুমার কর্মকার, কালবেলার জেলা প্রতিনিধি স্বপন চন্দ্র দাস প্রমুখ।
এসময় সিরাজগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি হেলাল আহম্মেদ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাকিরুল ইসলাম সান্টু, সাংগঠনিক সম্পাদক রহমত আলী, অর্থ সম্পাদক নুরুল ইসলাম রইছি, আপ্যান বিষয়ক সম্পাদক রেজাউল করিম খান, দৈনিক ইত্তেফাকের জেলা প্রতিনিধি মাহমুদুল কবির, আজকালের জেলা প্রতিনিধি জহুরুল ইসলাম, শ্যামল বাংলার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক দিলীপ গৌড়, এখন টেলিভিশনের জেলা প্রতিনিধি রিফাত রহমান, মানবজমিনের জেলা প্রতিনিধি সুজন সরকার, রাইজিংবিডি.কম এর জেলা প্রতিনিধি অদিত্য রাসেল, খোলা কাগজের জেলা প্রতিনিধি এইচ এম আলমগীর কবির, যুগের কথার বার্তা সম্পাদক হুমায়ুন কবির সুমন, আমাদের নতুন সময়ের জেলা প্রতিনিধি সোহাগ হাসান জয়সহ বিভিন্ন গণমাধ্যমের কর্মরত প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের শতাধিক সাংবাদিক উপস্থিত ছিলেন।
কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জে চলন্ত গাড়ি থেকে কাঁদা ছিঁটে পড়াকে কেন্দ্র করে গ্রামের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছে বলে জানা গেছে।
সোমবার সকালে করিমগঞ্জের কিরাটন ইউনিয়নের গৌরারগোপ গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষের আগে মসজিদের মাইক ব্যবহার করে একটি পক্ষ।
গৌরারগোপ গ্রামের বাসিন্দা দ্বীন ইসলাম জানান, শনিবার বিকেলে বাড়ি থেকে গাবতলী বাজারের দিকে যাচ্ছিলেন তাদের বাড়ির তাজুল ইসলাম (২৫) নামে যুবক। এ সময় বিপরীত দিক থেকে মোটরসাইকেলযোগে আসতেছিলেন মাসুদ মিয়া (৩২) নামে আরেক যুবক। মাসুদের চলন্ত মোটর সাইকেল থেকে কাঁদা ছিটে পড়ে তাজুলের উপর। তখন তাজুল তাকে ধীরে যেতে বলেন। আর এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে তাজুলকে মারধর করেন মাসুদ। এতে উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। পরে স্থানীয় জনপ্রতিনিধরা এসে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করেন এবং আপাতত কেউ যেন সংঘর্ষ না জড়ান এ বিষয়ে অনুরোধ করেন। কিন্তুু আজ সকালে মাসুদের লোকজন মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে সংঘর্ষে জড়ায়। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। তারা বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে গেছে। এদিকে মাসুদ মিয়ার সাথে যোগাযোগ করতে তার ব্যবহৃত মোবাইল নাম্বারটি বন্ধ পাওয়া গেছে। এছাড়াও মাসুদ মিয়া পক্ষের মনজিল মিয়ার ব্যবহৃত মোবাইল নাম্বারটি বন্ধ পাওয়া যায়।
করিমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মাহবুব মুর্শেদ জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে গ্রামের পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। এ বিষয়ে অভিযোগের ভিক্তিতে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
তিতাস গ্যাস কর্তৃক গ্যাসের অবৈধ ব্যবহার শনাক্তকরণ এবং উচ্ছেদ অভিযান কার্যক্রম চলমান রয়েছে। নিয়মিত অভিযানের অংশ হিসেবে গত ১০ আগস্ট (রবিবার) ২০২৫ তারিখে জনাব মনিজা খাতুন, এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ-এর নেতৃত্বে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিসন এণ্ড ডিষ্ট্রিবিউশন পিএলসি-এর জোবিঅ- ফতুল্লা-কুতুবপুর আওতাধীন ফতুল্লা, নারায়ণগঞ্জ এলাকায় ০৬ টি স্পটে অবৈধ গ্যাস সংযোগ উচ্ছেদ অভিযান পরিচালিত হয়েছে। অভিযানে, মেসার্স বন্ধন ষ্টীল ওয়ার্কস নামের একটি রোলিং মিলে অভিযানকালে ০২ টি মোল্ডিং ভাট্টিতে ০৪ টি বার্নার এবং ০১ টি গ্যালভানাইজিং হিট ট্রিটমেন্ট এ ০৩ টি বার্নারের মাধ্যমে মোট ঘন্টাপ্রতি ৪,৬০০ ঘনফুট লোডে অবৈধপন্থায় গ্যাস ব্যবহার করায় তা বিচ্ছিন্ন করে উৎসমুখে কিলিং করা হয়েছে। উক্ত প্রতিষ্ঠানে মাসিক ৪৬,০৬০ ঘ.মি. গ্যাস ব্যবহার হতো যার আনুমানিক মূল্য ১৪,০৪,৮৩০/-। হাবিবা বেকারি নামের একটি বেকারিতে অভিযানকালে ০১ টি রোটারি রেক ওভেনের মাধ্যমে মোট ঘন্টাপ্রতি ৩০০ ঘনফুট লোডে অবৈধপন্থায় গ্যাস ব্যবহার পাওয়া যাওয়ায় তা বিচ্ছিন্ন করে উৎসমুখে কিলিং করা হয়েছে। উক্ত প্রতিষ্ঠানে মাসিক ২,১২০ ঘ.মি. গ্যাস ব্যবহার হতো যার আনুমানিক মূল্য ৬৪,৬৭১/-। এছাড়া, কোম্পানির বৈধ ৪" বিতরণ লাইন হতে গ্রাহক কর্তৃক নিজ উদ্দ্যোগে ৩" অবৈধভাবে স্থাপিত প্রায় ১,৫০০ ফুট বিতরণ লাইন স্থাপন করে গ্যাস ব্যবহারের কারণে অবৈধভাবে স্থাপিত বিতরণ লাইনটি কিলিং কাজ করার সময় বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে উত্তেজিত স্থানীয়দের বাঁধার সম্মুখীন হওয়ায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশমতে লাইন কিলিং ব্যাতিরেকে স্পট ত্যাগ করা হয়। এছাড়াও, উত্তর ভূইগড়, ফতুল্লা, নারায়ণগঞ্জ এলাকায় ১৩ টি ডাবল বার্ণারের মাধ্যমে অবৈধ গ্যাস ব্যবহারের কারণে আবাসিক সংযোগটি বিচ্ছিন্ন করে উৎসমুখ হতে কিলিং করা হয়েছে। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক ১০,০০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।
একই দিনে, জনাব হাছিবুর রহমান, বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ -এর নেতৃত্বে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিসন এণ্ড ডিষ্ট্রিবিউশন পিএলসি-এর আঞ্চলিক বিক্রয় বিভাগ -রুপগঞ্জ আওতাধীন আতলাসপুর, রূপগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ এলাকায় ০২ টি স্পটে অবৈধ গ্যাস সংযোগ উচ্ছেদ অভিযান পরিচালিত হয়েছে। অভিযানে, ৩.৫ কি.মি. এলাকার আনুমানিক ২২০ বাড়ির ১৬৫ টি চুলার গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। এ সময়, ১.৫" ডায়া পাইপ ২৩০ ফুট ও প্লাস্টিক পাইপ ৫০০ ফুট অপসারণ/জব্দ করা হয়েছে। এ ছাড়া, তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিসন এণ্ড ডিষ্ট্রিবিউশন পিএলসি -এর আঞ্চলিক রাজস্ব বিভাগ -নারায়ণগঞ্জ আওতাধীন এলাকায় ০৪ টি স্পটে অবৈধ গ্যাস সংযোগ উচ্ছেদ অভিযান পরিচালিত হয়েছে। অভিযানে, ০৪টি আবাসিক বৈধ গ্রাহকের ১৭টি ডাবল চুলার সংযোগ বিচ্ছিন্নসহ একজন শিল্প গ্রাহকের নিকট থেকে মোট ২,২২,৮২,৫৬০ টাকা বকেয়া আদায় করা হয়েছে ।
এছাড়া, আঞ্চলিক ভিজিল্যান্স বিভাগ-নারায়ণগঞ্জ এর সমন্বয়ে গঠিত বিশেষ টীম কর্তৃক ভোর ৬.০০ ঘটিকা হতে আবিবি-রূপগঞ্জ এর অধীনস্থ জোবিঅ-আড়াইহাজার এলাকার বিভিন্ন গ্রাহক আঙ্গিনা পর্যায়ক্রমে পরিদর্শন করা শুরু হয়। সকাল ১১ঘটিকার সময় সুমি ট্রেডার্স এন্ড ডাইং (ঠিকানাঃ হাঠখোলা, দুপ্তারা, আড়াইহাজার,নারায়ণগঞ্জ; গ্রা.সং. ৩৩৭০০০৫৯৫)* এর আঙ্গিনা পরিদর্শনকালে বাইপাস লাইনের মাধ্যমে গ্যাস ব্যবহাররত অবস্থায় পাওয়ায় তাৎক্ষণিকভাবে গ্রাহকের গ্যাস সংযোগটি বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। এছাড়াও, শওকত আলী টেক্সটাইল(৩৩৭০০০১৯৬) ও সালেহউদ্দিন সাইজিং ইউনিট (৩৩৭০০০২৬১) কর্তৃপক্ষকে নকশা বহির্ভূত অতিরিক্ত পয়েন্ট স্থায়ীভাবে অপসারণের জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। মেসার্স ইউসুফ আলী টেক্সটাইল (৩৩৭০০০৪২০) এর নকশা বহির্ভূত অতিরিক্ত পয়েন্ট তাৎক্ষণিকভাবে কিল করা হয়েছে।
এছাড়াও, জনাব সৈকত রায়হান, বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ -এর নেতৃত্বে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিসন এণ্ড ডিষ্ট্রিবিউশন পিএলসি-এর আঞ্চলিক বিক্রয় বিভাগ -জয়দেবপুর -এর জোবিঅ-জয়দেবপুর আওতাধীন মেসার্স ভারগো টোবাকো, কাউলতিয়া ও মুসলিম পাড়া, হাতিয়াব, মেট্রো সদর থানা, গাজীপুর এলাকায় ০২ টি স্পটে অবৈধ গ্যাস সংযোগ উচ্ছেদ অভিযান পরিচালিত হয়েছে। অভিযানে, আনুমানিক ১২০০ ফুট বিতরন লাইনের শিল্প স্হাপনা ও আনুমানিক ১৫০টি দ্বিমুখী চুলার সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। এ সময়, মোট ১,০০,০০০/-( এক লক্ষ ) টাকা অর্থদন্ড প্রদান করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, সেপ্টেম্বর, ২০২৪ হতে গত ১০ আগস্ট, ২০২৫ তারিখ পর্যন্ত অভিযান পরিচালনা করে ২৯৬টি শিল্প, ৩২২টি বাণিজ্যিক ও ৬৩,০৫১টি আবাসিকসহ মোট ৬৩,৬৬৯টি অবৈধ গ্যাস সংযোগ ও ১,২০,৬১৪টি বার্নার বিচ্ছিন্ন সহ উক্ত অভিযানসমূহে ২৩৯ কিলোমিটার পাইপলাইন অপসারণ করা হয়েছে।
রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলায় বজ্রপাতে নিহত দুই পরিবারকে সরকারি মানবিক সহায়তার চেক প্রদান করা হয়েছে। সোমবার (১১ আগস্ট) সকাল ১০টায় উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে এ সহায়তা প্রদান করা হয়।
চেকগুলো নিহতদের পরিবারের হাতে তুলে দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এস.এম. আবু দারদা। এ সময় উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মো. আসলাম হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মানবিক সহায়তা কর্মসূচির মাধ্যমে দুই পরিবারকে ২৫ হাজার টাকার চেক প্রদান করা হয়।
উল্লেখ্য, গত ২ আগস্ট (শনিবার) সন্ধ্যায় হাবাসপুর ইউনিয়নের কাচারীপাড়া নওলামারী এলাকায় পাট জাগ দেয়ার সময় বজ্রপাতে ওই এলাকার মৃত নিজাম প্রামানিকের স্ত্রী আনোয়ারা বেগম ও মৃত আরিফ মোল্লা'র ছেলে তামিম মোল্লা (১৫) মারা যান। নিহতদের পরিবারের অভিভাবকরা এ সহায়তার চেক গ্রহণ করেন।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আবদুল মোমেন বলেছেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী, সাবেক প্রধান বিচারপতি, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, বায়তুল মোকাররমের খতিব পালিয়ে গেছেন-এর পেছনের মূল কারণ দুর্নীতি। আমাদের মধ্যে যেসব কর্মকর্তা-কর্মচারী আছেন, তাদের বিষয়েও খোঁজ নেওয়া দরকার। এমনকি আমার সম্পর্কেও খোঁজখবর নিতে পারেন।
সোমবার সকাল ১০টায় জয়পুরহাট জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে দুর্নীতি দমন কমিশনের আয়োজনে এবং জেলা প্রশাসন ও জেলা দূর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সহযোগিতায় অনুষ্ঠিত গণশুনানিতে তিনি এসব কথা বলেন।
দুদক চেয়ারম্যান আরও বলেন, দুর্নীতি পুরোপুরি নির্মূল করা সম্ভব হবে না, তবে কমিয়ে আনা সম্ভব। আমরা যদি পারস্পরিক আন্তরিক হই, তবে দুর্নীতি কমে আসবে। গণশুনানিতে আসা অভিযোগগুলো খতিয়ে দেখে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোকে নির্দেশ দেন তিনি।
এসময় জয়পুরহাট ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল, বিআরটিএ অফিস, জয়পুরহাট চিনিকল, জয়পুরহাট পৌরসভা, এলজিইডি, সমাজসেবাসহ বেশ কিছু অফিসের দুর্নীতি নিয়ে অভিযোগ আনা হয় এবং দুদক চেয়ারম্যান তাৎক্ষণিক সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেন।
অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক (যুগ্মসচিব) আফরোজা আকতার চৌধুরীর সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন দুর্নীতি দমন কমিশনের মহাপরিচালক আকতার হোসেন, দুদক রাজশাহী বিভাগীয় পরিচালক ফজলুল হক, পুলিশ সুপার মুহম্মদ আবদুল ওয়াহাব, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোহা. সবুর আলী প্রমুখ।
মন্তব্য